প্রকাশিত: ২৫/০৮/২০১৬ ৫:৩৫ পিএম

ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার:
সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে প্রায় ১৫ টি ফিশিং ট্রলার ভারতের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় ভেসে গেছে। মাঝি মাল্লাদের প্রায় সকলেই বেচে থাকলেও আইনগত জঠিলতার কারণে আটকা পড়েছে অধিকাংশ ফিশিং ট্রলার। সম্প্রতি দুইটি ট্রলার পালিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে বলে বলে জানা যায়।

ভারতে আইনী জটিলতায় আটকা পড়েছে প্রায় অর্ধশত মাঝি-মাল্লা। প্রাপ্ত তথ্যমতে সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে প্রায় ১৫টি ফিশিং ট্রলার ভারতের সীমানায় প্রবেশ করলে ভারতের আইনশৃংখলা বাহিনী প্রায় ৭টি ট্রলার আটক করে। অন্যান্য ট্রলার পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পালিয়ে আসা ট্রলারের মালিক কাইয়ুম সওদাগর জানান, বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করার পর ট্রলারের মাঝির সাথে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। মাঝি জানিয়েছেন, যে ট্রলার পালিয়ে আসতে পারেনি সে ট্রলার এর মাঝি-মাল্লাসহ ভারতের আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়ে গেছে। তাদের সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। যারা কৌশলে ফিরে আসতে পেরেছে তারা এখন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরছে। আটক মাঝি-মাল্লাদের ফিরিয়ে আনতে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। ঝড়ো বাতাসে কোন মাঝি-মাল্লা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেছেন কোন ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়নি। ওই বহরে কক্সবাজারের মাত্র দুইটি ট্রলার ছিল, দু’টি ট্রলারই কৌশলে ফিরে এসেছে। ভারতে আটকা পড়া ট্রলারের অধিকাংশই চট্টগ্রামের বাশখালী ও আনোয়ারা উপজেলার। অন্তত আটটি ট্রলার ফিরে ্এসেছে।

সিরাজ কোং জানিয়েছেন, ভারত থেকে বঙ্গোপসাগরে আসার পর ট্রলার মাঝির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ হয়েছে। মাঝির দেওয়া তথ্যমতে হঠাৎ বঙ্গোপসাগরের কয়েকটি পয়েন্টে ঝড়ো বাতাস হয়। তাই যান-মাল রক্ষায় বাতাসের গতির সাথে মিলিয়ে প্রায় ২০ ট্রলার ভারতের সীমানায় প্রবেশ করে। কিছু ট্রলার ফিরে আসতে পেরেছে কিছু পারেনি।

সাগর থেকে উপকূলে আসা মোক্তার আহমদ মাঝি জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরের সবকটি ট্রলার ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়েনি। যার ফলে আমরা নিরাপদে মাছ ধরে উপকূলে আসতে পেরেছি। ভারতে আটকে পড়া ট্রলারের মধ্যে আনোয়ারারা শাহ আলম কোং দুইটি ট্রলার রয়েছে বলে রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে আটকে পড়া মাঝি-মাল্লাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আনতে হবে। তবে এমন ঝড়ো হাওয়ায় হতা-হত না হওয়ায তিনি শোকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন।

উপকূলীয় ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল খায়ের জানান, সমিতির অর্ন্তভুক্ত মাত্র একটি ট্রলার এর খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বাশখালী থেকে কয়েকটি ট্রলারের মালিক আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে।

পাঠকের মতামত

আজহারীর পরবর্তী মাহফিল যে স্থানে

সিলেটে যাচ্ছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।আগামীকাল বৃহস্পতিবার আনজুমানে খেদমতে কুরআন আয়োজিত ৩৬তম তাফসিরুল ...